৫ সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানের পর নিখোঁজ
পটুয়াখালীর দশমিনায় স্বামী ও পাঁচ সন্তান রেখে মোসা: মুক্তা বেগম বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরেই পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করেন। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া নামক গ্রামের মৃধা বাড়িতে এ ঘটনা হয়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে মুক্তা বেগম নিখোঁ;জ রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া গ্রামের ছবির মৃধা পরিবারের জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রামে অবস্থান করতেছেন। এ দিকে তার স্ত্রী ও পাঁচ সন্তা;নের মা মোসা: মুক্তা একই গ্রামের মো: ধলুলুদ্দিন মৃধার ছেলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শি;ক্ষার্থী মো: রুবেল মৃধার সাথে পর;কীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলে তাদের এই
প্রেম। এর মথ্যে মুক্তা ও রুবেল ওই ইউনিয়নের আমতলা বাজারে একটি ভবনে বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবন যাপন করতে থাকেন।এক পর্যায়ে পরকীয় দাম্পত্যে মুক্তা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে মুক্তা বেগম প্রেমিক রুবেলের অনুরোধের কারনে দু’মাসের ভ্রুণ নষ্ট করেন।
এরপর রুবেল মুক্তাকে অনেকটা এড়ি;য়ে চলতে শুরু করেন। বিয়ে করতেও অস্বীকৃতি জানান। এমন প্রেক্ষাপটে বিয়ের দাবিতে মোসা: মুক্তা বেগম মঙ্গ;লবার রাতে প্রেমিক রুবেল মৃধার বাড়িতে অবস্থান নেন। পরে রুবেল মৃধা ও বহরমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম মুক্তার স্বামী ছ;বিরকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাতে
থাকেন। পরের দিন বুধবার সকাল ৮টার দিকে প্রেমিক রুবেল মৃধার বাড়িতে স্বামী ছবির তার স্ত্রী মুক্তাকে মারধর করলেও মুক্তা রুবেলের বাড়িতেই অবস্থান করেন। ওই রাতেই যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাত-আটজনের একটি দল নিয়ে মুক্তাকে খোঁজা;খুঁজি করেন। তারপর থেকে মু;ক্তা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে যুবলীগ সভা;পতির দাবি, মুক্তা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ দিকে বুধবার থেকে পরকীয়া প্রেমি;ক রুবেল মৃধাও লাপাত্তা রয়েছেন। তবে গ্রামের মো: দীনা মৃধার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদদাতার সাথে রুবেল মৃ;ধার কথা হয়। বৃহস্পতিবার ফোনে মুক্তার সাথে পরকীয়ার কথা স্বী;কার করেন করেন রুবেল মৃধা। তবে বি;য়ে প্রশ্নে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।