ঘরে মায়ের লাশ রেখে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দিলো ২ বোন

পরীক্ষা
সাদিয়া ফেরদৌস ও শারমিন ইয়াসমিন টেকনাফ কক্সবাজারের দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী। সম্পর্কে তারা বোন। মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে কাঁদতে কাঁদতে এসএসসি পরীক্ষা য় অংশ নেয় তারা।

মঙ্গলবার সকালে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা র দিন টেকনাফ উ/পজেলায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের মা আনোয়ারা বেগম কিছুদিন আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর থেকে তিনি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন।

সোমবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে আনোয়ারা বেগম মারা যান। স্বজনরা যখন লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন সাদিয়া ফেরদৌস ও শারমিন ইয়াসমিন কাঁদতে কাঁদতে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি প রীক্ষা দিতে যান।

পরীক্ষা

তাদের মা আনোয়ারা বেগম কিছুদিন আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর থেকে তিনি নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে আনোয়ারা বেগম মারা যান। স্বজনরা লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিলে সাদিয়া ফেরদৌস ও শারমিন ইয়াসমিন কাঁদতে কাঁদতে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি প রীক্ষা দিতে যান।

সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মফিজ উদ দৌল্লা জানান, মা হারানো দুই শিক্ষার্থী খুবই মেধাবী। তারা দুটি কক্ষে আলাদাভাবে প রীক্ষা দিচ্ছেন। কখনো কখনো তাদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

পরীক্ষা

কেন্দ্রীয় সচিব এবং সরকার এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলি চৌধুরী জানান, দুই বোন এক হাতে রুমাল দিয়ে বারবার চোখ মুছছিলেন, অন্য হাতে পরীক্ষার খাতায় লিখছিলেন।

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, মা হারানোর বেদনা নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন সাদিয়া ও শারমিন। আমরা তাদের পরীক্ষার সময় যতটা সম্ভব তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।

আরো পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ আঘাত হানতে পারে মে মাসে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *